Banner 728x90

কী ঘটেছে তরমুজের বাজারে, দাম কিছুটা কমলেও বিক্রি কম

 

কী ঘটেছে তরমুজের বাজারে, দাম কিছুটা কমলেও বিক্রি কম







ওই তরমুজে তেমন স্বাদ ছিল না। এটিও তরমুজ বিক্রি কমার একটি কারণ। বর্তমানে বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যায়, সেগুলো যেমন হৃষ্টপুষ্ট ও পরিপক্ক, তেমনি দামও আগের তুলনায় অনেক কম। ফলে ভোক্তারা তরমুজ কিনতে শুরু করেছেন। তবে এখনো বাজারে তরমুজের স্বাভাবিক চাহিদা ও বিক্রির জায়গায় যায়নি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলেন, এবারের রোজায় গরম কম পড়ায় তরমুজের চাহিদা কম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি তরমুজ বিক্রেতা নাদিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এবার তরমুজের বাজার খুব সুবিধার নয়। দাম ভালো না পাওয়ায় বরিশাল ও পটুয়াখালীর মতো এলাকা থেকে তরমুজ এনে গাড়িভাড়া দিয়ে পোষানো যাচ্ছে না। প্রথম দিকে বাজারে তরমুজের চাহিদা একেবারে পড়ে গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।

মালিবাগ এলাকার ফল বিক্রেতা নাজিরুল ইসলামের অভিজ্ঞতাও একই ধরনের। তিনি বলেন, ‘তরমুজের মৌসুম শুরু হওয়ার পরেই বাজারে কেজিতে নাকি পিস হিসেবে বিক্রি হবে, এ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই কেজিতে তরমুজ কিনতে চাননি। তাতে বিক্রি পড়ে যায়। এখন আমার মতো অনেকেই পিস হিসেবে বিক্রি করছেন। তবে পিস হিসেবে বিক্রি করলেও আমাদের হিসাব থাকে। ৫-৬ কেজির তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, আর ১০ কেজির কাছাকাছি তরমুজ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে কোথাও কোথাও তরমুজের দাম আরও কম দেখা গেছে। সেসব জায়গায় প্রতিটি তরমুজ একদর ১০০ টাকা ও ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কেজিপ্রতি তরমুজ বিক্রির সুযোগ নেই বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের একটি অংশ। কারণ, এসব তরমুজ কৃষক পর্যায়ে কিংবা রাজধানীর বাদামতলী ও ওয়াইজঘাটের মতো পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হয় না।


পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর তরমুজচাষি মিথেল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে তরমুজ বিক্রি করে দেড়–দুই লাখ টাকা পাওয়ার কথা, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। কারণ, পাইকারেরা বেশি দাম বলছেন না। এক ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী বাজারটা নষ্ট করেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে কম দামে তরমুজ কিনে নিয়ে চড়া দরে বিক্রি করছে। এ ছাড়া কেজিতে তরমুজ বিক্রি নিয়ে ফেসবুকে অনেক লেখালেখি হয়েছে। ফলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অথচ কৃষকেরা কখনোই কেজিতে তরমুজ বিক্রি করেন না। সব মিলিয়ে আমরা লোকসানের শিকার হয়েছি।’


No comments

Powered by Blogger.