Banner 728x90

অর্থ পাচারের কথা বললেও রিং আইডির আসামিদের ছাড় দিল সিআইডি

 

অর্থ পাচারের কথা বললেও রিং আইডির আসামিদের ছাড় দিল সিআইডি



অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে যেসব প্রতিষ্ঠান, সেগুলোর একটি রিং আইডি। দেড় বছর আগে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা গ্রাহকদের ৩০২ কোটি টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেন। তার মধ্যে ৩৭ কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু তদন্ত শেষে এই মামলায় রিং আইডির তিন শীর্ষ কর্তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিআইডি।


ঢাকার আদালতে জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রিং আইডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী আইরিন ইসলাম এবং পরিচালক ও শরিফুলের ভাই সাইফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিআইডি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রিং আইডির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আদায়, আত্মসাৎ, অবৈধভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টাকা স্থানান্তর এবং বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া যায়নি। যে তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছিল, তা ছিল ভুল।




এক বছর অনুসন্ধানের পর ২০২২ সালের আগস্টে রাজধানীর গুলশান থানায় রিং আইডির ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করে সিআইডি। তখন সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে দিনে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করার চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় রিং আইডি।








এসব আইডি খুলতে গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হতো। পরিচয়পত্রধারীরা ভিপিএনের মাধ্যমে প্রতিদিন নির্দিষ্টসংখ্যক বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখতেন, তার বিনিময়ে লাভ পেতেন। বিদেশি যে বিজ্ঞাপনগুলো গ্রাহকেরা দেখতেন, তার জন্য পাওয়া টাকা আর দেশে আসেনি বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।


সিআইডি সূত্র জানায়, শরিফুল ইসলাম ও আইরিন ইসলাম কানাডায় থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ছেলে শরিফুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেন। ২০০৫-০৬ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য তিনি কানাডায় চলে যান। সেখানে আইরিন ইসলামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং পরে বিয়ে হয়।








রিং আইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়াকে অস্বাভাবিক বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়। সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়াটা স্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে আদালত চাইলে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য দিতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.