Banner 728x90

বিদ্যুৎ মিটার নিয়ে ভুল, অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য

বিদ্যুৎ মিটার নিয়ে ভুল, অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য





বাংলাদেশ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সমগ্র অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে চালু করছে। লেখাটিতে সিঙ্গেল ফেজ প্রিপেইড মিটারের দাম বলা হয়েছে ১৬০০ টাকা, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খোলাবাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিঙ্গেল ফেজ প্রিপেইড মিটার ৫৫০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। 
যে গ্রাহক খোলাবাজার থেকে মিটার সরবরাহ করেন, সেই গ্রাহকের থেকে প্রতি মাসে মিটার ভাড়া কেটে রাখা হয় না। কেবল অফিস থেকে বিনা মূল্যে যে প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করা হয়, সে মিটারের ভাড়া ৪০ টাকা করে কেটে রাখা হয়। একটি সিঙ্গেল ফেজ মিটারের লাইফ সাইকেল যদি ১০ বছর হয়, তবে গ্রাহক ১০ বছরে ৪৮০০ টাকা মিটার ভাড়া দেবেন, যা ৬০০০ টাকা থেকেও কম।






ডিমান্ড চার্জ প্রতি মাসে একবার বিদ্যুৎ–সংযোগ থাকলেই দিতে হয়। ডিমান্ড চার্জ ধনী-গরিবের জন্য নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে অনুমোদিত লোড ও ট্যারিফের ওপর। যেমন একজন ক্ষুদ্র আবাসিক গ্রাহকের অনুমোদিত লোড যদি ২ কিলোওয়াট হয়, সর্বশেষ বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার অনুযায়ী প্রতি কিলোওয়াট আবাসিক লোডের জন্য ৪২ টাকা ডিমান্ড চার্জ, 


 তাঁকে প্রথম ৭৫ ইউনিটের জন্য ৫.২৬ টাকা, পরবর্তী ১২৫ ইউনিটের জন্য ৭.২০ টাকা, পরবর্তী ১০০ ইউনিটের জন্য ৭.৫৯ টাকা, পরবর্তী ১০০ ইউনিটের জন্য ৮.০২ টাকা, পরবর্তী ২০০ ইউনিটের জন্য ১২.৬৭ টাকা ও পরবর্তী ৪০০ ইউনিটের জন্য ১৪.৬১ টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল হবে। প্রতিবেদকের দাবি, ক্ষুদ্র ভোক্তা ও বড় আবাসিক ভোক্তার একই পরিমাণ ডিমান্ড চার্জ হয়, 



যা অবুঝ বাচ্চার মতো যুক্তি মনে হয়েছে। বেশির ভাগ ১১ কেভি বিতরণ লাইন রাস্তার পাশ দিয়েই করা হয়। কেবল ০.৪১৫ কেভি এলটি লাইন গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিতে অনেক সময় ফসলের জমির ওপর দিয়ে নিতে হয়, যা সম্পূর্ণ গ্রাহকের স্বার্থে। বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের নিমিত্ত ব্যবহৃত জমির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিককে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে, যা বিদ্যুৎ আইন-২০১৮–এর ধারা ১২তে বলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.