Banner 728x90

আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, প্রকৌশলীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা

 আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, প্রকৌশলীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা






এরপর বুধবার (২৯ মে) সকালে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলমসহ (৭০) ওই এলাকার দুই শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ পাননি। এ কারণে ঝালকাঠি ওজোপাডিকো অফিসে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম।





এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম বলেন, ‘গত রোববার থেকে একটানা চার দিন অতিবাহিত হলেও আমি বিদ্যুৎ পাইনি। আমি বৃদ্ধ মানুষ, এই গরমে কি বিদ্যুৎ ছাড়া থাকা যায়। অন্যদিকে পানির সংকট। বিদ্যুৎ না থাকলে পানি আসবে কেমনে। পানির জন্য তীব্র গরমে গোসল, খাবার পানি, বাথরুমের পরিচ্ছন্নতার কাজে অনেক কষ্ট করতে হয়।’
এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘ঝড়ে ঝালকাঠি শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে গেছে। যার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের লোকসহ স্থানীয় শ্রমিক ভাড়ায় এনে কাজ করাচ্ছি, তারপরও সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন যাদের বিদ্যুৎ লাইন সচল করে দিতে পারব তারা ভালো বলবে, ধন্যবাদ জানাবে। আর যাদের দিতে পারব না তারা খারাপ বলবে। যেহেতু এই ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি সেহেতু এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। দুই-তিন দিনের মধ্যে শহরের সব স্থানেই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হবে।’

জেলার ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মেরামতের জন্য দিন-রাত বিদ্যুৎ অফিসের লোকসহ ভাড়ায় লোক দিয়েও কাজ করানো হচ্ছে। এত পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে যা খুব দ্রুত সম্পূর্ণ করা সম্ভব না, সময় লাগবে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি জেলার সব স্থানে বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে পারব।’

No comments

Powered by Blogger.