Banner 728x90

পদ্মা নদীর এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৩৩ হাজার টাকায়

পদ্মা নদীর এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৩৩ হাজার টাকায়



পদ্মা নদীর প্রায় ২৩ কেজি ওজনের একটি বড় পাঙাশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৩ হাজার টাকায়। শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এই পাঙাশ মাছ বিক্রি করেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্যা। সকাল ১০টার দিকে তিনি মাছটি ৩২ হাজার টাকায় কেনেন। এই মৌসুমে এত বড় পাঙাশ প্রথমবারের মতো জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর থেকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে জেলেদের জালে বিভিন্ন ধরনের বড় মাছ ধরা পড়ছে। শনিবার সকালে সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে বের হন দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার ছাত্তার মেম্বারপাড়ার বাসিন্দা আনিস কাজী। তিনি ফেরিঘাটের উজানে লঞ্চঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন। সকাল ১০টার দিকে জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় এক পাঙাশ মাছ। মাছটি বিক্রির জন্য আনেন ৬ নম্বর ফেরিঘাটে। এ সময় মাছটি ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্যা।

চান্দু মোল্যা বলেন, শনিবার সকাল ১০টার পর পর স্থানীয় জেলে আনিস কাজী বড় এক পাঙাশ মাছ নিয়ে বিক্রির জন্য হাজির হন ফেরিঘাটে। মাছটি বিক্রির জন্য নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। এ সময় পাঙাশ মাছটি ওজন দিয়ে দেখেন, প্রায় ২৩ কেজি হয়েছে। এই মৌসুমে জেলেদের জালে এ ধরনের বড় পাঙাশ প্রথমবার ধরা পড়েছে। পাঙাশ মাছটি ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে নদীতে বেঁধে রাখেন। পরে পরিচিতি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে থাকেন। পরে দুপুরের পর গাজীপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঙাশটি কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে লাভে মোট ৩৩ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি বিকেলের দিকে যাত্রীবাহী পরিবহনে করে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতে পানির গভীরতা বাড়তে থাকায় বড় মাছের বিচরণ অনেকটা বেড়েছে। এ কারণে জেলেদের জালে কয়েক দিন ধরে বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে, যা মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি জেলেদের জন্য ইতিবাচক।

No comments

Powered by Blogger.